অনুজীব জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান ২০২৫-২০২৬
অনুজীব সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
১। যেসব জীব অতি ক্ষুদ্রাকার তাই অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া ভালো দেখা যায় না সেসব জীবই অণুজীব।
২। জীবিজ্ঞানের যে শাখায় অণুজীব দিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করা হয় সেই শাখাকে বলা হয় অণুজীববিজ্ঞান, অণুজীবতত্ত্ব বা মাইক্রোবায়োলজি।
৩। ভাইরাস হলো প্রোটিন-আবরণবেষ্টিত নিউক্লিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ অতি আণুবীক্ষণিক (ultra microscopic) বস্তু যা জীবদেহের অভ্যন্তরে রোগ সৃষ্টি করে কিন্তু জীবদেহের বাইরে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে।
81 সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত ভাইরাস হলো TMV (টোবাকো মোজাইক ভাইরাস)।
৫। ভাইরাস নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করা হলো ভাইরোলজি।
৬। বিজ্ঞানী Stanley কে ভইরোলজির জনক বলা হয়ে থাকে।
৭। ভাইরাসে জীব ও জড় উভয় প্রকার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
৮। ভাইরাসে একই সাথে DNA এবং RNA থাকে না, এর যেকোনো একটি থাকে।
৯। যেসব ভাইরাসের নিউক্লিক অ্যাসিড RNA, সেসব ভাইরাসকে বলা হয় RNA ভাইরাস; আবার যেসব ভাইরাসের নিউক্লিক অ্যাসিড DNA তাদেরকে বলা হয় DNA ভাইরাস।
১০। T₂ ভাইরাস হলো DNA ভাইরাস, আর TMV হলো RNA ভাইরাস।
১১। ভাইরাস বাধ্যতামূলক পরজীবী।
১২। পোষক কোষে কোনো ভাইরাস-প্রোটিনের জন্য রিসেপ্টর সাইট থাকলে কেবল তখনই ঐ ভাইরাস সেই পোষক জীবকে আক্রমণ করতে পারে।
১৩। ভাইরাস ল্যাটিন শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ হলো বিষ।
১৪। যেকোনো ভাইরাসের কেন্দ্রে নিউক্লিক অ্যাসিড থাকে (RNA অথবা DNA) এবং নিউক্লিক অ্যাসিডকে ঘিরে প্রোটিনের একটি আবরণ থাকে যাকে ক্যাপসিড বলে।
১৫। ক্যাপসিড-এর ইউনিটকে ক্যাপসোমিয়ার বলে।
১৬। লিপোপ্রোটিন আবরণবিশিষ্ট ভাইরাসকে লিপোভাইরাস বলে।
১৭। কোনো ভাইরাস তার নির্দিষ্ট পোষক জীব (যেমন-পাখি) থেকে পরে সম্পর্কহীন অন্যজীবে (যেমন-মানুষ) ছড়িয়ে পড়লে তাকে ইমার্জিং ভাইরাস বলে।
১৮। সংক্রমণ ক্ষমতা সম্পন্ন এক একটি পূর্ণাঙ্গ ভাইরাসকে ভিরিয়ন বলে।
১৯। এক সূত্রক বৃত্তাকার সংক্রামক RNA হলো ভিরয়েডস।
২০। সংক্রামক প্রোটিন ফাইব্রিল হলো প্রিয়নস।
২১। যে সমস্ত ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণ করে ধ্বংস করে দেয় তাদেরকে ফায বা ব্যাকটেরিওফায বলে।
২২। T₂ ব্যাকটেরিওফায-এর DNA দ্বিসূত্রক।
২৩। হিউম্যান হার্পিস ভাইরাস দ্বারা ক্যাপোসিস সারকোমা রোগ হয়।
২৪। লিভার প্রদাহকে হেপাটাইটিস বলা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হেপাটাইটিস-B ভাইরাস দিয়ে হেপাটাইটিস হয়ে থাকে।
২৫। হেপাটাইটিস-B নির্ণয়ের জন্য রক্তের এইচবি সারফেস অ্যান্টিজেন (HBsAg) পরীক্ষা করতে হয়।
২৬। ডেঙ্গুজ্বর হয়ে থাকে ডেঙ্গু ভাইরাস দিয়ে। এর বাহক হলো Aedes aegypti ও A.albopictus স্ত্রী মশা।
২৭। রক্তে NSI অ্যান্টিজেন এবং IgG ও IgM অ্যান্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু শনাক্ত করা হয়।
২৮। ডেঙ্গু জ্বরে অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ সেবন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
২৯। পেঁপের রিংস্পট রোগ হয় Papaya Ringspot Virus (PRSV) ভাইরাস দ্বারা।
৩০। গ্রিক Bakterion (অর্থ ছোট রড/দণ্ড) হতে ব্যাকটেরিয়া শব্দের উৎপত্তি।
৩১। অ্যান্ট ভ্যান লীউয়েন হুক-কে ব্যাকটেরিওলজি ও প্রোটোজওলজির জনক বলা হয়।
৩২। অনেকেই লুই পাস্তুরকে আধুনিক ব্যাকটেরিওলজির জনক বলে থাকেন।
৩৩। জীববিজ্ঞানের যে শাখায় ব্যাকটেরিয়া নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করা হয় সেই শাখাকে ব্যাকটেরিওলজি বলা হয়।
৩৪। সবচেয়ে প্রতিকূল পরিবেশে বাস করতে সক্ষম আর্কিব্যাকটেরিয়া।
৩৫। Methanogens জাতীয় আর্কিব্যাকটেরিয়া প্রতি বছর বায়ুমণ্ডলে দুই বিলিয়ন টন মিথেন গ্যাস মুক্ত করে।
৩৬। যেসব ব্যাকটেরিয়া মিথেন সৃষ্টি করে তাদেরকে methanogens বলা হয়।
৩৭। ব্যাকটেরিয়া হলো জড় কোষ প্রাচীরবিশিষ্ট এককোষী আদিকেন্দ্রিক অণুজীব যা সাধারণত দ্বিভাজন প্রক্রিয়ায় সংখ্যাবৃদ্ধি করে।
৩৮। গোলাকার ব্যাকটেরিয়াকে কক্কাস বলে।
৩৯। দণ্ডাকৃতির ব্যাকটেরিয়াকে ব্যাসিলাস বলে।
৪০। অ্যামোনিয়াকে নাইট্রেট (NO₃) এ পরিণত করা হলো নাইট্রিফিকেশন। যেসব ব্যাকটেরিয়া নাইট্রিফিকেশন করে তদেরকে বলা হয় নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া। যেমন- Nitrosomonus, Nitrobacter ।
৪১। মানুষের অস্ত্রে E.coli বিভিন্ন ভিটামিন (K, B₂ বায়োটিন ইত্যাদি) উৎপন্ন করে দেহকে সরবরাহ করে।
৪২। Clostridium botulinum নামক ব্যাকটেরিয়া খাদ্যে botulin নামক বিষ সৃষ্টি করে যা মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে।
৪৩। Xanthomonas oryzae pv oryzy দ্বারা ধানের ব্লাইট রোগ হয়।
88 Vibrio cholerae নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা মানুষের কলেরা রোগ হয়।
৪৫। টক দই-এ গোলাকার ও দণ্ডাকার (কক্কাস ও ব্যাসিলাস) ব্যাকটেরিয়া থাকে। Streptococcus হলো গোলাকার এবং Lactobacillus হলো দণ্ডাকার।
৪৬। ফরাসি ডাক্তার Charles Laveron (১৮৮০) ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর লোহিত রক্তকণিকা থেকে ম্যালেরিয়া জীবাণু আবিষ্কার করেন।
৪৭। স্যার রোনাল্ড রস আবিষ্কার করেন যে, Anopheles মশা এ রোগের জীবাণু এক দেহ থেকে অন্য দেহে ছড়ায়।
৪৮। ম্যালেরিয়া জীবাণু Plasmodinm গণভুক্ত, আমাদের দেশে সাধারণত P. vivax নামক প্রজাতি দিয়ে ম্যালেরিয়া হয়ে থাকে এবং জ্বর আসে ৪৮ ঘণ্টা পর পর।
৪৯। P. vivax এর জীবনচক্র সম্পন্ন করতে মানুষ ও মশকীর এই পোষক দেহের প্রয়োজন হয়।
৫০। মানুষের যকৃত ও লোহিত রক্তকণিকায় ম্যালেরিয়া জীবাণু অযৌন পদ্ধতিতে জীবনচক্র সম্পন্ন করে।
৫১। যে জীবনচক্রে সাইজন্ট বিদ্যমান থাকে তাকে সাইজোগনি বলে।
৫২। Anophelis মশকীর লালাগ্রন্থিতে ম্যালেরিয়া জীবাণুর স্পোরোজয়েট থাকে যা মশকীর দংশনের মাধ্যমে মানুষের রক্ত স্রোতে প্রবেশ করে।
৫৩। ৪৮ ঘণ্টা পরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসাই P. vivax জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট ম্যালেরিয়ার লক্ষণ।