কোষ বিভাজন জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান ২০২৫-২০২৬

কোষ বিভাজন জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ২০২৫ 




১। বিভাজনের মাধ্যমে মাতৃকোষ থেকে অপত্যকোষ (বিভাজনের ফলে সৃষ্ট নতুন কোষ) সৃষ্টি হয়।


২। Walter Flemming ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দে সামুদ্রিক স্যালামান্ডার কোষে প্রথম কোষ বিভাজন লক্ষ্য করেন।


৩। কোষ বিভাজন তিন প্রকার; যথা- অ্যামাইটোসিস, মাইটোসিস, মায়োসিস।


8। মাইটোসিসকে সমীকরণিক বিভাজনও বলা হয়।


৫। একটি কোষের সৃষ্টি, এর বৃদ্ধি ও বিভাজন-এই তিনটি পর্যায় যে চক্রের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় তাকে বলা হয় কোষ চক্র।


৬। একটি জেনেটিক প্রোগ্রাম দ্বারা কোষচক্র নিয়ন্ত্রিত হয়।


৭। সাইক্লিন এবং সাইক্লিন ডিপেন্ডেন্ট কাইনেজ (cdk) যৌগ কোষচক্রের জন্য অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনা প্রদান করে।


৮। কোষের একটি বিভাজনসম্পন্ন হওয়ার পর থেকে পরবর্তী বিভাজন শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত অবস্থাকে বলা হয় ইন্টারফেজ। অর্থাৎ একটি মাইটোসিস দশা থেকে পরবর্তী মাইটোসিস দশার মধ্যবর্তী সময় হলো ইন্টারফেজ অবস্থা।


৯। স্পিন্ডলযন্ত্রের বিষুবীয় অঞ্চলে ক্রোমোসোমের বিন্যস্ত হওয়াকে বলা হয় মেটাকাইনেসিস।


১০। নিউক্লিয়াসের বিভাজনকে বলা হয় ক্যারিওকাইনেসিস এবং সাইটোপ্লাজমের বিভাজনকে বলা হয় সাইটোকাইনেসিস।


১১। ক্রোমোসোমের খাটো ও মোটা হওয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় কনডেনসেশন এবং DNA-অণুর যে জটিল কয়েলিং প্রক্রিয়ায় কনডেনসেশন ঘটে থাকে তাকে বলা হয় সুপারকয়েলিং।


১২। কোনো টিস্যুর মোট কোষ সংখ্যা এবং মাইটোসিস বিভাজনরত কোষ সংখ্যার অনুপাতকে বলা হয় মাইটোটিক ইনডেক্স।


১৩।


কোষচক্রে সাইক্লিন cdk-এর নিয়ন্ত্রণ বিনষ্ট হয়ে গেলে অনিয়ন্ত্রিত মাইটোসিস হয়, এর ফলে টিউমার ও ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।


১৪। কোষে p53 নামক প্রোটিন defective হলে কোষচক্র নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং টিউমার ও ক্যান্সার সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দেয়।


১৫। কোষচক্র বিনষ্টকারী জিন হলো Oncogene।


১৬। মায়োসিস কোষ বিভাজনে 2n কোষ হতে n (হ্যাপ্লয়েড) কোষ সৃষ্টি হয় অর্থাৎ ক্রোমোসোম সংখ্যা অর্ধেকে হ্রাস পায়।


১৭। মায়োসিস বিভাজনের প্রোফেজ-১ এর লেপ্টোটিন উপপর্যায়ে ক্রোমোমিয়ার (স্থানীয়ভাবে DNA কয়েলিং-এর ফলে সৃষ্ট মোটা ব্যান্ড) দৃষ্টিগোচর হয়।


১৮। মায়োসিস বিভাজনের প্রোফেজ-১ এর জাইগোটিন উপ-পর্যায়ে দুটি হোমোলোগাস ক্রোমোসোমের মধ্যে জোড় সৃষ্টি হয়, যাকে সিন্যাপসিস বলে। প্রতিটি জোড়বাঁধা ক্রোমোসোমকে বাইভেলেন্ট বলে।


১৯। মায়োসিস বিভাজনের প্রোফেজ-১ এর প্যাকাইটিন উপ-পর্যায়ে প্রতিটি বাইভেলেন্টের ২টি ক্রোমোসোমই সেন্ট্রোমিয়ার ব্যতীত দৈর্ঘ্য বরাবর দুটি ক্রোমাইটিড-এ বিভক্ত হয়। এর ফলে প্রতিটি বাইভেলেন্টে ৪টি ক্রোমাটিড থাকে (এবং ২টি সেন্ট্রোমিয়ার থাকে।)


২০। একই ক্রোমোসোমের ২টি ক্রোমাটিডকে সিস্টার ক্রোমাটিক বলে। একই জোড়ার দুটি ক্রোমোসোমের ক্রোমাটিডকে নন-সিস্টার ক্রোমাটিড বলে।


২১। দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিড একই স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে একটির সাথে অপরটি পুনরায় সংযুক্ত হয়। নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের এই সংযুক্তি স্থান ক্রস চিহ্নের মতো হয় যাকে কায়াজামা (বহু বচনে কায়াজমাটা) বলে।


২২। নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে অংশের বিনিময়কে ক্রসিংওভার (ক্রসওভার) বলে।


২৩। ক্রসিংওভারের ফলে মাতৃ ও পিতৃ ক্রোমোসোমের মধ্যে অংশের বিনিময় ঘটে এবং জিন বিন্যাসের পরিবর্তন হয়।


২৪। মায়োসিস বিভাজনের মেটাফেজ-এ ক্রোমোসোমের সেন্ট্রোমিয়ার অবিভক্ত থাকে (মাইটোসিস বিভাজনের মেটাফেজ- এ সেন্ট্রোমিয়ার বিভক্ত থাকে)।


২৫। মায়োসিস বিভাজনের অ্যানাফেজ-১ এ প্রতি মেরুতে এক একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রোমোসোম পৌঁছে। ফলে প্রতি মেরুতে ক্রোমোসোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোসোম সংখ্যার অর্ধেক সংখ্যক হয় অর্থাৎ 2n এর পরিবর্তে n সংখ্যক হয়।


২৬। ডিপ্লয়েড জীবে মাায়োসিসের মাধ্যমে জননকোষ (গ্যামিট) সৃষ্টি হয়।


২৭। মাইটোসিস-এর প্রোফেজ পর্যায়ে নিউক্লিয়াস আকারে বড় হয় এবং ক্রোমোসোমগুলোতে জল বিয়োজন শুরু হয়।


২৮। প্রো-মেটাফেজ পর্যায়ের শেষের দিকে নিউক্লিয়োলাস ও নিউক্লিয়ার এনভেলপ-এর বিলুপ্তি ঘটে।


২৯। স্পিন্ডল যন্ত্রের দুই মেরুর মধ্যবর্তী স্থানকে ইকুয়েটর বা বিষুবীয় অঞ্চল বলা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url