HSC জীববিজ্ঞান ১ম পত্র ১০ম অধ্যায় | HSC Biology 1st Paper Chapter 10 MCQ


সার-সংক্ষেপ


প্রজনন : জীব থেকে নতুন শিশু জীব সৃষ্টি প্রক্রিয়াই প্রজনন। প্রজনন জীবের। শিশু উদ্ভিদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া হলো উদ্ভিদ প্রজনন। উদ্ভিদ বিভিন্ন উপায়ে প্রজনন করতে পারে। উপায়গুলো হলো অঙ্গজ জনন,


ধাপ হলো পরাগায়ন। পরাগায়নের মাধ্যমে একই উদ্ভিদের অথবা একই প্রজাতির অন্য উদ্ভিদের পরাগধানী হতে পরাগরেণু যথামে যে প্রজনন হয় তা হলো যৌন প্রজনন। ফুল থেকে বীজ হয়, তাই বীজ দ্বারা যে প্রজনন হয় তা যৌন প্রজনন। : নিশ্চল স্ত্রীগ্যামিটের সাথে সচল পুংগ্যামিটের পরাগরেণু পরাগনালিকা সৃষ্টির মামলায় ভেতরে অণু সৃষ্টি হয়। পরকে পণ্ডিত হয়। গর্ভমুণ্ডে পঠিত অামার প্রবেশ করে। ইতোমধ্যে পরগনালিকার ভেতরে হয়।


জনন, পারথেনোকার্তিক জনন। মূল ও কাণ্ডের বিভিন্ন উপবৃদ্ধি থেকে যে জনন হয় তা হলো অঙ্গজ জনন। ফুল সৃষ্টির


পরাগনালিকা শেষ পর্যন্ত ভ্রূণথলিতে প্রবেশ করে। শুক্রাণু ভ্রূণথলিস্থ ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে নিষেক ক্রিয়া সম্পন্ন করে। প্রকাস্থ নামিয়ে অপর একটি শুক্রাণু ভ্রূণথলিতে অবস্থিত সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াসের সাথে মিলিত হয়ে খিনিষেক সম্পন্ন করে।


নিষেকের পর নিষিক্ত ডিম্বাণু পরিপূর্ণ হয়ে বীজে পরিণত হয়।


সংকরায়ন: কোনো ভালো বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন গাছের পরাগরেণু একই প্রজাতির ভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন গাছের গর্ভমূহে পরাগায়ন ঘটিয়ে উন্নত জাত উদ্ভাবনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় সংকরায়ন (hybridization)। অন্যভাবে বলা যায়, সংকরায়ন হলো এমন প্রজনন পদ্ধতি যেখানে এক বা একাধিক জিনগত বৈশিষ্ট্যে ভিন্ন দুই বা ততোধিক উদ্ভিদের মধ্যে ক্রস করিয়ে নতুন উন্নত ভ্যারাইটি (জাত) উদ্ভাবন করা হয়। একটি নাতিদীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি করা হয়। ধানের ইরি বা বিরিস বিভিন্ন উন্নত ফলনশীল প্রকরণ এভাবেই সৃষ্টি করা হয়েছে।


এই অধ্যায়ে দক্ষতা অর্জন


১। যে শারীরতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ায় জীব তার অনুরূপ অপত্য বংশধর সৃষ্টি করে তাই প্রজনন বা প্রজনন প্রক্রিয়া। অপত্য বংশধর সৃষ্টি করাই প্রজনন। প্রজনন জীবের অনন্য বৈশিষ্ট্য।


২। প্রজনন প্রক্রিয়া প্রধানত তিন প্রকার। যথা- 

(i) যৌন প্রজনন,

(ii) অযৌন প্রজনন এবং

 (iii) পারথেনোজেনেসিস।


৩। আবৃতবীজী উদ্ভিদ-এর যৌন প্রজনন অঙ্গ হলো ফুল।


81 উদ্ভিদের যৌন প্রজননের জন্য বিশেষভাবে রূপান্তরিত বিটপই ফুল।


৫। ফুলের পুংকেশরে পরাগধানী থাকে। পরাগধানীর অভ্যন্তরে পরাগমাতৃকোষের মায়োসিস বিভাজনে সৃষ্ট হ্যাপ্লয়েড কোষই পরাগরেণু।


৬। সাধারণত চারটি পরাগরেণু হালকাভাবে এক সাথে অবস্থান করে। এই অবস্থায় একে পরাগচতুষ্টয় বা পোলেন টেট্রাড বলে।


৭। একটি পরাগধানীর পরাগরেণুসমূহ একসাথে গুচ্ছবদ্ধভাবে অবস্থান করলে সেই পরাগগুচ্ছকে পলিনিয়াম বলে। Orchidaceae, Asclepiadaceae গোত্রে পলিনিয়াম দেখা যায়।


৮। পরাগরেণুর বাইরের ত্বকে (এক্সাইন) থাকা ছিদ্রকে জার্মপোর, রেণুরন্ধ্র, বা জনন ছিদ্র বলে।


৯। পরাগরেণু হলো পুংগ্যামিটোফাইটের প্রথম কোষ।


১০। পরাগনালিকাতে দুইটি পুংগ্যামিট সৃষ্টি হয়।


১১। ডিম্বকের অগ্রভাগের ত্বকবিহীন অংশকে মাইক্রোপাইল বা ডিম্বকরন্ধ্র বলে।


১২। ডিম্বক প্রধানত চার প্রকার। 

(i) উর্ধ্বমুখী, 

(ii) অধোমুখী, 

(iii) পার্শ্বমুখী এবং 

(iv) বক্রমুখী।


১৩। ডিম্বক ত্বক দিয়ে আবৃত টিস্যুই নিউসেলাস বা ভ্রূণপোষক টিস্যু।


১৪। ডিম্বকের নিউসেলাসে সৃষ্ট থলির ন্যায় অঙ্গকে ভ্রুণথলি বলা হয়।


১৫। মেগাস্পোর বা স্ত্রীরেণু হলো স্ত্রী গ্যামিটোফাইটের প্রথম কোষ।


১৬। পতলেরার ছাল উদ্ভিদে মনোস্পোরিক প্রক্রিয়ায় ভ্রূণথলি গঠিত হয়। মনোস্পোরিক-এ একটি মাত্র স্ত্রীরেণু অবা করে।


১৭। দ্বিনিষেক: একই সময়ে ডিম্বাণুর সাথে একটি পুংগ্যামিটের মিলন ও সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াসের সাথে অপর পুংগ্যামিটো মিলন প্রক্রিয়াকে দ্বিনিষেক বলা হয়। দ্বিনিষেক আবৃতবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য।



১৮। ত্রিমিলন (Triple fusion): সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াসের সাথে একটি পুংগ্যামিটের মিলনকে ত্রিমিলন বলে। মিলনের ফলে ট্রিপ্লয়েড অবস্থা প্রাপ্ত হয় এবং তা থেকে সস্যকলা সৃষ্টি হয়।


১৯। নগ্নবীজী Ephedea-তে দ্বিনিষেক আবিষ্কৃত হয়েছে।


২০। নিষেকের পর পূর্ণতাপ্রাপ্ত ও বিকশিত গর্ভাশয়ই ফল।


২১। নিষেকের পর বিকশিত ডিম্বকই বীজ।


২২ । যে প্রক্রিয়ায় ডিম্বাণু নিষেক ছাড়াই ভ্রুণে পরিণত হয় এবং ডিম্বক বীজে পরিণত হয় তাকে পারথেনোজেনেসিস বলে।


২৩। হরমোন প্রয়োগে বীজহীন ফল সৃষ্টি প্রক্রিয়াকে পারথেনোকার্পি বলে।


২৪। ডিম্বকের দেহকোষ থেকে সৃষ্ট ভ্রূণথলির (ডিপ্লয়েড) ডিপ্লয়েড ডিম্বাণুটি নিষেক ছাড়াই ভ্রূণ সৃষ্টি প্রক্রিয়াকে অ্যাপোস্পোরি বলা হয়।


২৫। ডিম্বাণু ছাড়া ভ্রূণথলির অন্য যেকোনো কোষ থেকে ভ্রূণ সৃষ্টি প্রক্রিয়াকে অ্যাপোগ্যামি বলে।


২৬। এক বা একাধিক বৈশিষ্ট্যে ভিন্নতর দুইটি (বা ততোধিক) উদ্ভিদের মধ্যে কৃত্রিমভাবে ক্রস করানো প্রক্রিয়াকে বলা হয় হাইব্রিডাইজেশন বা সংকরায়ন। সংকরায়নের মাধ্যমে সৃষ্ট উদ্ভিদকে বলা হয় সংকর উদ্ভিদ।


২৭। IRRI-International Rice Research Institute (ফিলিপাইন-এ)


২৮। BRRI-Bangladesh Rice Research Institute (জয়দেবপুর, বাংলাদেশ)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url